চিংড়ি বাঙালির প্রিয় মাছ। এই মাছ অনেকে পছন্দ করে আবার অনেকে পছন্দ করে না । তবে চিংড়ির মাছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। চিংড়ি মাছ আমাদের শরীরের আয়রন এর অভাব পূরণ করে থাকে এবং অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। চিংড়ি মাছে রয়েছে সেলেনিয়াম যা আমাদের শরীরের ক্যান্সার কোষ কে ধ্বংস করে দেয়। এছাড়া আমাদের দেহের রক্ত সল্পতা, হাড়ের ক্ষয় রোধ ও শরীরের দুর্বলতা রোধ করে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এটি খুবই উপকারী। কারণ চিংড়ি মাছ ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এছাড়া কচুতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে। কচুতে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকার কারণে এটি রক্ত সল্পতার অভাব পূরণ করে থাকে। নিয়মিত কচু খেলে আমরা কোলন ক্যান্সার ও বেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এছাড়া পুঁইশাকেও প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে। এটি ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধও করে থাকে। তাই আজই জেনে নিন কচু, পুঁইশাক ও চিংড়ি মাছ রান্নার রেসিপিটি।
উপকরণ ঃ
◾ চিংড়ি মাছ
◾ কচু
◾ পুঁইশাক
◾ কাঁচা মরিচ
◾ শুকনো মরিচ
◾ পেঁয়াজ
◾ রসুন
◾ হলুদ
◾ ধনিয়া
◾ লবণ
◾ তেল
Ingredients :
◾ Shrimp
◾ Taro
◾ Basella
◾ Green Chilli
◾ Red Chilli
◾ Onion
◾ Garlic
◾ Turmeric
◾ Coriander
◾ Salt
◾ Oil
প্রণালী ঃ
প্রথমে আপনার প্রয়োজন মতো চিংড়ি মাছ নিন। মাছ গুলো ভালো করে বেছে নিন এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর আপনার প্রয়োজন মতো কচু নিন। কচু গুলো একটি কড়াইতে ( বা পাত্রে ) দিয়ে দিন এবং পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিন। কচু গুলো ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। কচু গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন এবং ঠান্ডা করতে দিন। এরপর কচু গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন। আপনার প্রয়োজন মতো পুঁইশাক নিন। পুঁইশাক গুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি কড়াইতে ( বা অন্য পাত্রে ) তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে দিন। পেঁয়াজ কুচি গুলো একটু ভাজা ভাজা হয়ে আসলে এর মধ্যে কাঁচা মরিচ বাটা, শুকনো মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া, ধনিয়া গুড়া, রসুন বাটা ও পরিমাপ মতো লবণ দিয়ে মসলা গুলো একটু কষিয়ে নিন। মসলা গুলো একটু কষিয়ে এলে এর মধ্যে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিন এবং ১০ মিনিট মতো নাড়তে থাকুন। এরপর এর মধ্যে পুঁইশাক গুলো দিয়ে দিন এবং আরো ১০ মিনিট মতো নাড়তে থাকুন। এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিন এবং সাথে মেখে রাখা কচু গুলোও দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ২০ মিনিট মতো রান্না করুন। এরপর রান্নাটি হয়ে গেলে একটি পরিষ্কার পাত্রে নামিয়ে নিন এবং ভাত এর সাথে সুন্দর করে সাজিয়ে খাওয়ার জন্য পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে রান্নাটি রুটি দিয়েও খেতে পারেন।
Comments
Post a Comment